Header Ads

ব্রুডার নিউমোনিয়াঃকেন হয়,কিভাবে হয়,লক্ষণ,পোস্টমরটেম,চিকিৎসা,প্রতিরোধ


এপিডিমিওলোজি
একে এস্পারজিলোসিস বলা হয় যা এস্পাজিলাস ফিউমিগেটাস নামক ছত্রাক দিয়ে হয়।
এটি এরোবিক পরিবেশ এবং হাই তাপমাত্রায় ও হাই আদ্রতায় ভাল জন্মায়।
সব পাখিকে এরা আক্রমণ করতে পারে তবে মুরগির ও টারকির বাচ্চাতে বেশি হয়।
হাসের বাচ্চা, কোয়েলের বাচ্চাও আক্রান্ত হয়।
১-৪ সপ্তাহে বেশি হয়।
বয়স্ক মুরগি রেজিস্ট্যান্ট।
এটি শ্বাসনালীর রোগ যা পালমোনারি রুপে পরিচিত,এই রুপটাই বেশি দেখা যায়
এটি ২ ভাবে হয়
তীব্র মানে একোট যা বাচ্চাতে হয় এতে অনেক মরবিডিটি ও মরটালিটি হয়,৫-৫০%
ক্রনিক যা বয়স্ক মুরগিতে হয়।
তাছাড়া আরো কিছু রুপ আছে
সিস্টেমিক এস্পারজিলোসিস যা টারকির বাচ্চাতে বেশি হয়।
অস্টিওমাইকোসিস যার ফলে বাচ্চা প্যারালাইসিস হয়।
অফথালমাইটিস যার ফলে কংজাংটিভা এবং চোখে চিজি বা প্যাল্প জমা হয়।
এনসেফালাইটিস ,Ataxia,opisthotonos,paralysis,falling,pussing over backwards.
এটি ছোয়াচে না, মানে মুরগি থেকে মুরগিতে ছড়ায় না।
Spore of fungus is very tough and resistant and difficult to destroy.
কেন হয়ঃ
ব্রুডিং এর সময় বাচ্চা ভিজা বা দূষিত খাবার খেয়ে আক্রান্ত হয়।
এমোনিয়া বেশি থাকলে।
ঠান্ডা আবহাওয়া।
নোংড়া পরিবেশ।
ব্যাক্টেরিয়া ,ভাইরাসের আক্রমণ ।
পুস্টিমানের ঘাটতি ।
কিভাবে ছড়ায়ঃ
শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।(বিশেষ করে কাঠের গুড়া)
জীবানূযুক্ত খাবার।
লিটার ও মাটি।
ধূলাবালি
হ্যাচারি পরিস্কার না থাকলে।
বাচ্চা বহন করার বাক্স সংক্রামিত হলে বাচ্চা আক্রান্ত হতে পারে।
ডিমের সাথে যদি জীবানূ থাকে তাহলে বাচ্চা ফোটার পর বাচ্চা আক্রান্ত হয়।
ফাটা ,খোসা পাতলা ডিম থেকে।
ফারমের ফ্লোর থেকে।
লক্ষণঃ
Gasping or laboured breathing and they breathe with open mouth due to obstructruction of airway.
গ্যাস্পিং(Pump handle breathing) ,মানে শ্বাস কষ্ট,মুখ হা করে ঘনঘন নিঃশ্বাস নয়।
কোন কোন সময় জর হয়।
খাবারের রুচি কমে যায় কিন্তু বারবার পানি খায়।
ঘুমানো ভাব এবং বাচ্চা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
আইবি ও আই এল টি আক্রমণ করলে গারগ্লিং ও র্যাটলিং শব্দ হয়।
পোস্ট মরটেমঃ
ফুসফুস ও এয়ারস্যাকে এমন কি ট্রাকিয়ায় বিভিন্ন সাইজের ও শক্ত নডিউল দেখা যায়।
Yellow white pinpoint lesion found in lung and airsac,
Sometime all body cavity is filled with yellow-green granular fungas
প্রতিরোধঃ
১ম ৭-১০ দিন তুষ ব্যবহার করা বা তাদের মিক্সার ব্যবহার করা।
কাঠের গুড়া ব্যবহার করলে তাতে তুতে এবং নিম পাতা গুড়া ব্যবহার করা।
বেশি শুকনা হলে জীবানূনাশক বা পানি দিয়ে স্প্রে করা এবং ভিজা হলে শুকিয়ে নেয়া।
ফ্লোর জিবানূ মুক্ত রাখা।
হ্যাচারীর ইনকোবেটর ও হ্যাচার এবং অন্য সকল কিছু জীবানূমুক্ত রাখা।
চিকিৎসাঃ
নিচে ধারনা দেয়া আছ।
উপস্থিত ডাক্তার সমস্যা দেখে চিকিৎসা দিবে।
আক্রান্ত বাচ্চা সাধারনত ভাল হয়না।
পুরান লিটার বাদ দিয়ে নতুন লিটার দিতে হবে।
খাবারে সমস্যা থাকলে খাবার বদলাতে হবে।
খাবার পাত্র ও পানির পাত্র পরিস্কার রাখা।
তুতে ,১ গ্রাম ২-৩ লিটার পানিতে ৪-৫ দিন ১ বেলা।
১ টা এন্টিবায়োটিক লেভোফ্লক্সাসিলিন বা এমোক্সিসিলিন ৪-৫ দিন সব সময়।
সি,১ গ্রাম ৩ লিটারএ,ই সেল, ১ এল এল ১ লিটারে।
টক্সিন বাইন্ডার, টক্সিনিল প্লাস ২ এম এল ১ লিটারে ৫-৬ দিন ১ বেলা।
আমাদের দেশে নিউমোনিয়ার মূল কারন কাঠের গুড়ি ও হ্যাচারী।

3 comments:

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.