তিতির
তিতির পালন দেশি মুরগির
চেয়ে লাভজনক দেখতে অনেকটা
মুরগির মতো হলেও তিতির আসলে
পাখি। তবে গ্রামাঞ্চলে একে চায়না
বা চীনা মুরগি বলা হয়। এবং এদের অত্যধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তিতির পাখির বাজার মূল্য দেশি হাঁস-
মুরগির চেয়ে অনেক বেশি। তাই এটি
পালন দেশি মুরগির চেয়েও লাভজনক।
ফলে তিতির পাখি পালন দারিদ্র
বিমোচনে সহায়তা করতে পারে। এবং দেশি মুরগির মতই
এদের লালন-পালন করা যায়। তিতির
পাখির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
অন্যান্য পাখির তুলনায় বেশি। সংক্রমণ
বা পরজীবী সহজে আক্রান্ত করতে
পারে না। আলাদা কোনো ভ্যাকসিন
বা ওষুধও দিতে হয় না। এমনকি তিতিরের সপূরক খাদ্যের চাহিদাও কম। প্রতিকূল
পরিবেশে এরা নিজেদের মানিয়ে
নিতে পারে। তিতিরের মাংস অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এবং একটি দেশি মুরগি বছরে ৫০-৬০টি ডিম
দিলেও তিতির পাখি বছরে প্রায় ১০০-
১২০টি ডিম দেয়। বাণিজ্যিক পোল্ট্রির দাপটে
বিলুপ্তির মুখে পড়লেও ডিম আর
মাংসের উৎপাদনে পোল্ট্রির চেয়েও
তিতির পাখি পালনে অনেক বেশি
সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments