পালন পদ্ধতি
ব্রডিংঃ
গরম কালে ৫ সপ্তা হ শীতকালে ৪ সপ্তাহ তাপ দিতে হয়।
বাচ্চা তারজালের উপর রাখা উচিত এতে রোগ ব্যাধি কম হবে।
তাপমাত্রা
১ম সপ্তাহ ৯৫ডিগ্রি ফারেনহাইট
২য় ৯০
৩য় ৮৫
৪র্থ ৮০
৫ম ৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট
২০-২৫ দিনে হাসকে মেঝেতে ছাড়া যায়।লিটার ৪-৫ ইঞ্চি পুরু দিতে হবে।
ঘেরার মধ্যে হাস পালন করলে হাস প্রতি ৩ বরগফুট আর যদি এদের চড়াবার ব্যবস্থা থাকে তবে রাতে আস্তানার জন্য ২ বরগফুট জায়গা লাগবে।
বয়স মেঝেতে জায়গা
০-১ সপ্তাহ .২৫ বরগ ফুট
১-২ .৩৩
২-৩ .৫
৩-৭ ১.৫
১।ছাড়া অবস্থায়;
মুক্ত এবং প্রাকৃতিক জলাশয়ে দিনের বেলায় ছাড়া অবস্থায় থাকবে এবং সেখানে খাবে,রাতের বেলায় ঘরে আসে।জলাশয়ে যদি খাবার কম পায় তাহলে সকালে এবং সন্ধায় প্রতি হাসের জন্য ৬০-৮০ গ্রাম খাবার দিতে হয় ,পরিমাণ নিরভর করে কতটুকু খাবার কম পেল তার উপর।
এভাবে ১ একর জমিতে ৮০০-১০০০ হাস পালা যায় এবং লাভ বেশি হয়।
২। আধা আবদ্ধ পদ্ধতি;
জলাশয়ের ধারে বা বাড়ির আংগিনায় হাসের বাসস্থান তৈরি করতে হয়,হাস জলাশয় এবং আংগিনায় ২ জায়গায় থাকবে।প্রতিটি হাসের জন্য ২-৩ বরগফুট এবং রানের (বিচরণ স্থান) জন্য ১০-১২ বরগ ফুট জায়গা লাগবে,আর উচ্চতা হবে ৭-৮ ফুট।
জলাশয়ে খাবার ভাল থাকলে ১৪০ গ্রামের কম খাবার দিলেও চলবে।
জলের জন্য নালা করলে ঘরের সমান করে ১৫ ইঞ্চি চওড়া আর ৯ ইঞ্চি গভীর করতে হবে।
৩ ।আবদ্ধ পদ্ধতি;
জলাশয় না থাকলে দিন রাত্রি ঘরে রেখেও পালা যায়,প্রতি হাসের জন্য জায়গা লাগবে ৩-৪ ফুট এবং নিয়মিত সুষম খাদ্য দিতে হবে।অরধ আবদ্ধ অবস্থার মত ঘর তৈরি করতে হবে।ঘরটাকে আলো আধারি করা যাবেনা ,ঘর অন্ধকার করে রাখতে পারেন,হাস যাতে মাথা উচু করে রাখতে পারে।তবে ইচ্ছে করলে জলের ব্যবস্থা করতে পারেন যা ১০টি হাসের জন্য গভীর ৯ ইঞ্চি,লম্বা ৬ আর প্রস্থ ৫ ইঞ্চি
প্রতিদিন প্রতি হাসের জন্য ১৬০ গ্রাম খাদ্য দিতে হবে।
নিম্নে ৫০০ হাঁস ও ৩০টি হাঁস পালনের হিসেব দেয়া হলো।
ডিম পাড়া ৫০০ হাঁস পালার যাবতীয় তথ্য :
প্রতি হাঁসের জন্য ২ বর্গফুট হিসেবে ১০০০ বর্গফুটের ঘর তৈরি করতে হবে। পাকা হলে প্রতি হাঁসের জন্য কমপক্ষে ২ বর্গফুট হিসেবে ১০০০ বর্গফুট। কাঁচা হলে প্রতি হাঁসের জন্য ১০ বর্গফুট হিসেবে ৫০০০ বর্গফুট। ওয়াটার চেনেলের গভীরতা ৯, প্রস্থ ২০ ইঞ্চি রাখুন। ৬ মাস পর্যন্ত প্রতিপালন করতে প্রতিটি হাঁসের জন্য ১৫ কেজি খাবার দরকার হবে। ৬ মাস পর প্রতি হাঁসের জন্য দৈনিক ১৬০ গ্রাম (আড়াই ছটাকের কিছু উপরে) হিসেবে খাবার লাগবে।
আবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি : ক. ফিডার বা ফিড হপার টিন বা প্লাস্টিকের বা কাঠের তৈরি এবং উভয় দিক দিয়ে খেতে পারে এরূপ ৪ ফুট লম্বা ১০টি ফিডার;
খ. লিটার: ধান,ভুট্রা, বা গমের খড়, শুকনা পাতা এবং ঘাস,ধানের তুষ ব্যবহার করা যায়, তবে খড় ব্যবহার করাই উত্তম;
গ. ডিম পাড়ার ঘর: হাঁসির জন্য ডিম পাড়ার ঘর তেমন দরকার হয় না। মূল ঘরের কোনায় বা দেয়ালের সঙ্গে ধানের খড় দিলে এতে হাঁসি ডিম দেবে এবং ওই ডিম পরিষ্কার থাকবে।
ঝুড়ি বা ট্রেতে করে ডিম সংগ্রহ করতে হবে। ৬ মাস বয়স পর্যন্ত খরচ (জমি ও ঘর বাদে): ১১০০ বাচ্চার দাম প্রতিটি ৩০ টাকা হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা। ৬ মাস বয়স পর্যন্ত ৫৫০ বাচ্চার খাবার খরচ (খাবার ৬ মাস বয়স পর্যন্ত ১৫ কেজি এবং প্রতি কেজি খাবারের মূল্য ৩০ টাকা) ২৪৭,৫০০ টাকা। অন্যান্য খরচ বাবদ ৫,০০০ টাকা। মোট বিনিয়োগ ২ লাখ ৮৫হাজার ৫০০ টাকা
৬ মাস বয়সের পর ডিম ও খাবারের হিসাব (লাভ-লোকসান)
দৈনিক ৫০০ হাঁসির খাদ্য (প্রতিটির জন্য ১৫০ গ্রাম) = ৭৫ কেজি। প্রতি কেজি ৩০ টাকা হারে ২২৫০ টাকা। দৈনিক ডিম উত্পাদন (৭০% উত্পাদন হিসেবে) ৩৫০টি। (১০০ ডিম = ৮০০ টাকা হিসেবে) ২৮০০ টাকা, ১দিনে খাবার খরচ বাদে থাকে (২৮০০-২২৫০) ৫৫০,মাসে থাকে ১৬,৫০০ টাকা,।
ছোট খামার হিসেবে জমির দাম, ব্যবস্থাপনা খরচা ইত্যাদি বিবেচনা না করে শুধু বাচ্চার মূল্য, খরচ ও নিজের শ্রম বিবেচনা করা হয়েছে। বাচ্চা মর্দা এবং মাদী শনাক্ত করা না থাকলে ১১০০ বাচ্চা ক্রয় করতে হবে। অন্যথায় ৫৫০টি বাচ্চা ক্রয় করলেই চলবে। মৃত্যুর হার ৬ মাস বয়স পর্যন্ত ৫% ধরা হয়েছে বলে ৫০০ হাসির জন্য ৫০টি বাচ্চা বেশি ক্রয় করতে হবে। দুই মাস বয়স পর্যন্ত মর্দা বাচ্চা পালন করতে যা খরচ হবে, ওই বয়সে ওই বাচ্চাগুলো বিক্রয় করে খরচের টাকা উঠে যাবে। তাই কেবল ৫৫০টি বাচ্চার খাদ্য খরচ দেখানো হলো।
৩০টি হাঁস পালন
: ক. সর্বদা বদ্ধ অবস্থায় : ঘরের জায়গার পরিমাণ : প্রতি হাঁসের জন্য ৫ বর্গফুট হিসেবে ১৫০ বর্গফুট = ১৫ × ১০ একটি ঘর। দৈনিক খাবার ৫ কেজি = ১৫০ টাকা।
দৈনিক গড় ডিম = ২০টি-২০*১০ঃ২০০ টাকা দৈনিক লাভ ২০০-১৫০ = ৫০টাকা। মাসে লাভ ১৫০০ টাকা।
খ।অর্ধ ছাড়া অবস্থায় : ঘরের জায়গার পরিমাণ ২ বর্গফুট হিসেবে = ৬০ বর্গফুট। ঘরের বাইরে রানের পরিমাণ = পাকা হলে ২-৫ বর্গফুট হিসেবে ৬০ বা ১৫০ বর্গফুট। দৈনিক গড় ডিম উত্পাদন ক২০টি ১০*২০ঃ২০০টাকা। খাবার ৫ কেজি ৩০ টাকা করে ১৫০টাকা,দৈনিক লাভ ২০০-১৫০ = ৫০ টাকা। মাসে লাভ ১৫০০ টাকা।খাবার ১ কেজি কম লাগবে তাতে আরো দিনে ৩০টাকা করে মাসে ৩০*৩০ঃ৯০০টাকা,১৫০০+৯০০ঃ২৪০০টাকা
ছাড়া অবস্থায় : ঘরপ্রতি হাঁসের জন্য দেড় থেকে ২ বর্গফুট হিসেবে = ৪৫ বর্গফুট। দৈনিক গড় ডিম উত্পাদন ১৫টি = ১৫০ টাকা (ডিম উত্পাদন ৫০% প্রতিটি ডিম ১০ টাকা) যদি কোনো খাবার খরচ না লাগে তবে মাসে লাভ ৪৫০০ টাকা। যদি অর্ধেক খাবার সরবরাহ করতে হয় তবে লাভ হবে তার আরধেক। (মাসে অর্ধেক খাবারের পরিমাণ = ৭৫ কেজি*৩০ঃ-২২৫০ টাকা (১ কেজি খাবারের মূল্য ৩০ টাকা) = ৪৫০০-২২৫০ঃ২২৫০ টাকা।
হাঁস ও মাছের মিশ্র চাষ পদ্ধতি : মাছের সঙ্গে হাঁসের চাষ একটি সমন্বিত খামার পদ্ধতি। একে অন্যের সহায়ক। পুকুরে মাছ ও হাঁস পালন পদ্ধতির সমন্বয় ঘটাতে পারলে সীমিত জায়গায় উত্পাদন বেশি পাওয়া যাবে। এ চাষ পদ্ধতি সবার জানা থাকলে বাংলাদেশের অনেকেই দ্বিগুণ ফসল ফলাতে পারবেন। অল্প জায়গায় মাছ ও হাঁস পালন পদ্ধতি অনেক উন্নত দেশে চালু আছে। তাইওয়ান, হংকং, চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশে এর ব্যাপক প্রসার হয়েছে। হাঁসকে পুকুরে জৈবসার উত্পাদনকারী মেশিন বলা যেতে পারে। মাছ চাষের জন্য পুকুরে হাঁস পালন করলে খুব কম খরচে অনবরত জৈবসার ছড়ানো যায়।
হাঁস ও মাছ চাষের প্রধান সুবিধাগুলো হলো : ১. একটি হাঁস প্রতি মাসে ৩-৪ কেজি জৈবসার পুকুরে ছড়িয়ে দিতে পারে। ৩-৪টি হাঁসের জৈব সার থেকে ১ কেজি বাড়তি মাছ উত্পন্ন হতে পারে।
২. হাঁস পুকুরের অবাঞ্ছিত আগাছা খেয়ে মাছ চাষে সাহায্য করে।
৩. শামুক, ব্যাংগাচি, পোকা-মাকড় যা মাছের কোনো কাজে আসে না এমন জিনিস খেয়ে হাঁস ডিম উত্পাদন করে।
৪. পুকুরে মাছ ও হাঁসের চাষ একসঙ্গে করে বছরে প্রতি হেক্টরে ১-১৫ টন (মাছ হাঁস) উত্পাদন বাড়ানো যেতে পারে।
বাসস্থান : হাঁসের ঘর পুকুরের উপর যে কোনো পাশে অথবা পুকুরের পাড়ে নির্মাণ করা যেতে পারে। পুকুরের উপরে নির্মিত ঘরে হাঁসের বিষ্টা ও উচ্ছিষ্ট সরাসরি পানিতে পড়বে এবং মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আর পুকুরের পাড়ে হাঁসের ঘর থাকলে ড্রেনের মাধ্যমে হাঁসের ময়লা পুকুরে দেয়া সহজ হবে।
লাভটা নিরভর করে কে কতটুকু কম খাবার দিয়ে বাহিরের খাবার খাওয়াতে পারবে,তাছাড়া হাস ২ বছরের বেশি ডিম দেয়।
আর লস টা হয় যদি হাস মারা যায়।তাই টিকা দিতে হবে এবং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
আমি ১০০ হাসের বাচ্চা নিয়ে একটি খামার শুরু করতে চাচ্ছি কি জাতের বাচ্চা ভালো হবে আর ১০০ বাচ্চার জন্য কতটুকু আয়তনের বাসস্হান তৈরি করতে হবে ও অন্যান্য কোনো বিষয় থাকলে বলে উপকৃত করবেন
ReplyDelete