হাস পালন
উন্নত জাতের একটি হাঁস বছরে ৩০০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। এ হাঁসের নাম হলো খাকী ক্যাম্ববেল ও ইন্ডিয়ান রানার। নদীর তীর, পুকুর পাড় ও আর্দ্র ভূমিতে হাঁস পালন খুবই লাভজনক।হাস বনো হাস ম্যালারড থেকে এসেছে।জল ছাড়া হাস পালা যায় কিন্তু সে হাসের বাচ্চা হবেনা কারণ হাস পানিতে সেক্স করে।
উন্নত হাস সাড়ে ৪ মাসে আর দেশি হাস ৬ মাসে ডিম দেয়।মেশিন দিয়ে ফোটানো যায় কিন্তু ফোটার হার ৩০%
হাস প্রায় ২.৫ বছর ডিম পাড়ে।
দেশি হাস দিয়ে ডিম ফোটানো যায়না তাই মুরগি দিয়ে ডিম ফোটানো হয়.
হাসে পানিতে নামলেও ভিজেনা কারন তার পালক এবং চামড়ার নিচের চর্বি।
হাস উভয়ভোজী মানে আমিষ ও শর্করা দুটি ই খায়।মুরগির খাবারের মত কিন্তু ডাইরেক মুরগির খাবার ভাল নয়।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ,নওগা,সোনাগাজি,ফেনী,গোপালগঞ্জ ,সুনামগঞ্জ,রাংগামাটি,চুয়াডাংগা,মানিকগঞ্জ,পটুয়াখালী,জামালপুর,নবাবগঞ্জ , বাগেরহাট এবং খুলনার দোলতপুর থেকে হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করা যাবে। নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়াস্থ কেন্দ্রীয় হাঁসের খামার থেকেও বাচ্চা নেয়া যায়।
হাসের জাত পরিচিতি;
জাত উদ্দেশ্য বছরে ডিমের সংখ্যা ওজন
খাকি ক্যাম্পেল ডিম ২০০-৩০০ ২.৫ কেজি
ইন্ডিয়ান রানার ডিম ২০০-২৫০ ২.৫কেজি
বেজিং বা পিকিং মাংস +ডিম ১০০-২০০ ৫কেজি
জিংন্ডিং ডিম+মাংস ১৫০-২৫০ ৪কেজি
মাস্কোভিস মাংস ৪-৫ কেজি
দেশি ডিম+মাংস ৮০-১০০ ২ -২.৫কেজি
No comments