এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস
এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস পোলট্রিতে ব্যাপকভাবে ক্রনিক রেসপিরেটরি ডিজিজ বা সিআরডি নামে পরিচিত। সাধারণত মাইকোপ্লাজমা দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শ্বাসতন্ত্রের অনান্য বাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জটিলতার যদি রোগ দীর্ঘস্থায় হয় তখন এ রোগকে সিআরডি বলে। মুরগীর কয়েক সপ্তাহ বয়স থেকে ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত রোগটি হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে রোগাক্রান্তের বয়স সীমা আরও অধিক হয়। বাচ্চা বা কম বয়সী মোরগ মুরগী ছাড়া অন্যান্য বয়সে রোগটি কিছু আনুষাঙ্গিক ও দুর্বলতা জনিত উপসর্গ সহ আর্বিভূত হয়।
রোগের কারণঃ মাইকোপ্লাজমা গেলিসেপটিকাম (Mycoplasma Gallisepticum) নামক জীবাণু।
হাঁচি, কাঁশি, নাক দিয়ে তরল পদার্থ নিঃসৃত হওয়া, শ্বাস কষ্ট, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় ঘড়ঘড় শব্দ হওয়া এ রেগের উল্লেখ্য যোগ্য বৈশিষ্ট।
শ্বসনতন্ত্রের অন্যান্য রোগের ন্যায় দ্রুত না ছড়িয়ে রোগটি ধীরে ধীরে সুস্থ মুরগীতে সংক্রমিত হয়।
চোখে ফেনা যুক্ত তরল পদার্থ।
মুরগীর খাদ্য গ্রহণ হ্রাস পায়। শরীর শুকিয়ে ওজন ও উৎপাদন কমে যায়। এ রোগে ডিম পাড়া মুরগীর উপোদন ৫০% পর্যন্ত হ্রাস পায়।
রোগটি যেভাবে ছড়ায়ঃ
আক্রান্ত মুরগী ও ডিমের মাধ্যমে সুস্থ মুরগী বা বাচ্চাতে রোগটি হতে পারে।
গৃহপালিত মুরগী, বন্য-পাখী ও আঁঠালি, ইঁদুর প্রভৃতির মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে।
রোগটির সংস্পর্শে আসা মানুষের হাত-পা ও আক্রান্ত ফার্মের আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি বা পরিবহন যানের মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে।
পোষ্ট মর্টেম লক্ষণঃ
বিভিন্ন সাইনাসে অথবা অস্থিসন্ধিতে সাদা দধির মতো পদার্থ জমে থাকে।
হার্ট বা হৃদপিন্ডের এয়ারস্যাক বা বায়ু থলির উপর সাদা ঘোলাটে আবরণ পড়ে।
চিকিৎসাঃ
নীচের যে কোন ওটি উপায়ে রোগের চিকিৎসা করা যায়। মনে রাখতে হবে যে কোন চিকিৎসা দ্বারাই মাইকোপ্লাজমা রোগটি নিমূল করা সম্ভব নয়। তবে রোগটি দমন করে সাময়িক ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখাই চিকিৎসার লক্ষ্য।
খামারীদের তাই খরচের দিকে লক্ষ্য রেখে এ রোগের চিকিসো করা উচিৎ।
Micronid/ Tiamuline hydrochloride/
Vitamine- C
Saline/ Electrolytes
প্রতিরোধঃ
রোগ ছড়ানোর উপায়গুলি ভালোভাবে জেনে সেগুলি সম্পর্কে সতর্কতামুলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভ্যাকসিনেশন বা টিকা ব্যবহার করে।
হ্যাচিং ডিম ইনকুরেটরে রেখে ২-৩ ঘন্টা (৩৭০ সেঃ-৩৮০ সেঃ) তাপ দিয়ে ০.০৪%-০.১% টাইলোসিন টারট্রেট/ জেন্টামাইসিন দ্রবণের২০ সেঃ - ৫০ সেঃ তাপমাত্রায় ১০-৩০ মিনিট রেখে দিলে ডিমের মাইকোপ্লাজমা জীবাণু মারা যায়.
No comments